ফ্রিল্যান্সিং কাজ শেখার পর কোন মার্কেটপ্লেস দিয়ে কাজ শুরু করবেন?

বর্তমানে ফ্রিল্যান্সিং সম্পর্কে সবার আইডিয়া হয়ে গেছে এবং অনেকে এই পেশাটির দিকে ঝুঁকছে। অনেকে ভাবতে শুরু করেছে,ফ্রিল্যান্সিং করে প্রচুর টাকা ইনকাম করা যায়। এবং তারা ভুলভাবে পদক্ষেপ নিচ্ছে।

হ্যাঁ, ফ্রিল্যান্সিং শিখে প্রচুর টাকা ইনকাম করা যায়। এটা সত্য। তবে ফ্রিল্যান্সিং কাজ শুরু করার আগে আপনাকে কয়েকটি বিষয় খেয়াল রাখতে হবে।

  • ভালোভাবে কাজ শেখা। (দেখতে এখানে ক্লিক করুন)
  • ক্লায়েন্টদের সাথে কমিউনিকেশন স্কিল ডেভেলপ করা। ( দেখতে এখানে ক্লিক করুন)
  • একটি ভালো ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেস সিলেক্ট করা।

তবে আজ আমরা ভালো মার্কেটপ্লেস সিলেট করা নিয়ে আলোচনা করব। তবে চলুন শুরু করি। নতুন অবস্থায় আপনারা কোন ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেস সিলেক্ট করবেন?

ফ্রিল্যান্সিং এর জনপ্রিয় কিছু মার্কেটপ্লেস:

ফ্রিল্যান্সিংয়ের বেশ কিছু জনপ্রিয় মার্কেটপ্লেস রয়েছে। এই ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেস গুলো দিয়ে আপনি ফ্রিল্যান্সিং কাজ শুরু করতে পারেন। চলুন দেখে আসি ফ্রিল্যান্সিং এর কিছু জনপ্রিয় মার্কেটপ্লেস

  • fiverr.com
  • upwork.com
  • freelancer.com
  • peopleperhour.com

এই চারটি হল সবথেকে জনপ্রিয় ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেস। এছাড়া আরো অনেক ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেস আছে| তবে সেগুলো একটি নির্দিষ্ট স্কিলের উপর ভিত্তি করে| যেমন: 99designs.com (আপনি যদি গ্রাফিক্স ডিজাইন শিখে থাকেন তাহলে আপনাকে 99designs.com যাওয়া উচিত)| ফ্রিল্যান্সিং আর উপরের চারটি ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেসে সব ধরনের ফ্রিল্যান্সাররা কাজ করে।

তবে আমি সেরা মার্কেটপ্লেস সম্পর্কে আলোচনা করব না। যেহেতু আপনি একটি স্কিল এর উপরে কাজ শিখেছেন। তাহলে আপনার কোন মার্কেটপ্লেসে যাওয়া উচিত? নতুন অবস্থায় আপনার কোন মার্কেটপ্লেসে কাজ করা শুরু করা উচিত? এটা নিয়ে আলোচনা করব।

নতুন অবস্থায় কোন ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেসে কাজ শুরু করা উচিত।

অনেকে হয়তো ভেবে নিয়েছেন আমি কোন মার্কেটপ্লেস সময় কথা বলব। হ্যাঁ, আপনি যদি আপনার fiverr.com ভেবে থাকেন তাহলে আপনি ঠিক। আজকে আমি ফাইবার সম্পর্কে কথা বলব| ব্যক্তিগতভাবে আমি ফাইবার মার্কেটপ্লেস টা পছন্দ করি না। তবে যদি আপনি নতুন ফ্রিল্যান্সিং শুরু করতে চান। তাহলে আপনাকে ফাইবার দিয়ে শুরু করতে হবে। তাই নতুনদের জন্য ফাইবার মার্কেটপ্লেস এর কিছু ভাল দিক সম্পর্কে আপনাদের আলোচনা করব।

বায়ার/ক্লায়েন্টকে খুঁজতে হয় না, বায়ার/ক্লায়েন্ট আপনাকে খুঁজবে

শুরু করার আগে ক্লায়েন্ট এবং buyerরের মধ্যে পার্থক্য বলে দেই। ফাইবারের যেহেতু আপনার সার্ভিসকে গিগ আকারে বিক্রি করতে পারবেন। তাই ফাইবারের সমস্ত ক্লায়েন্টকে বলা হয় buyer। আর অন্যান্য মার্কেটপ্লেসে মার্কেটপ্লেসকে বায়ারকে বলা হয় ক্লায়েন্ট। অর্থাৎ buyer এবং ক্লায়েন্ট দুইটা একই বিষয়।

ফ্রিল্যান্সিং fiverr gig
fiverr gig

উপরের ছবিটি লক্ষ করুন এখানে আমি ফাইবারে কিছু সার্ভিসের চিত্র তুলে ধরার চেষ্টা করেছি। নতুন অবস্থায় আপনি যদি ফাইবার মার্কেটপ্লেস এ কাজ শুরু করেন। তাহলে আপনি সাতটি পর্যন্ত গিগ তৈরি করতে পারবেন। এবং বায়াররা যদি আপনার কোন সার্ভিস পছন্দ করে। তাহলে তারা সরাসরি অর্ডার করতে পারে। অথবা আপনার সাথে যোগাযোগ করে, তারপর অর্ডার করতে পারে। তারমানে এখানে আপনাকে বায়ার খুঁজতে হচ্ছে না। এই ফাইবার মার্কেটপ্লেস buyer তার পছন্দের সার্ভিস তাকে খুঁজছে। যেহেতু এখানে বায়ারকে খুঁজতে হয় না, তাই নতুন অবস্থায় এই মার্কেটের সেরা।

নতুন অবস্থায় জবে বিড করার দক্ষতা অর্জন করা

যেহেতু আপনি নতুন, তাই কিভাবে একটি জবে বিড করতে হয়? এ সম্পর্কে আপনার আইডিয়া নেই। ফাইবারে জবে বিড করা ছাড়াও আপনি কাজ পাবেন তাই। এখানে শুরু করা উচিত। আর Fiverr এ জবে বিড করার সিস্টেম আছে। এবং সেখান থেকে আপনি রেগুলার জবে বিড করে আপনার দক্ষতা কে উন্নত করতে পারবেন। কিভাবে একজন ক্লায়েন্টের জবে বিড করবেন এ সম্পর্কে অভিজ্ঞতা অর্জন করতে পারবেন।

ফাইবারের জবে বিড করার সিস্টেমকে বলা হয়, বায়ার রিকোয়েস্ট। ফাইভারে বায়ার রিকোয়েস্ট পেতে হলে, আপনাকে প্রথমে গিগ তৈরি করতে হবে। এবং আপনার অ্যাকাউন্ট যে স্কিল দিয়ে তৈরি করবেন, সেই স্কিল এর উপর যদি কোন বায়ার রিকোয়েস্ট পাঠায়। তাহলে আপনি সেটা দেখতে পারবেন। যদি আপনি কোন গিগ না তৈরি করেন। তাহলে আপনি কোন বায়ার রিকোয়েস্ট দেখতে পারবেন না

ফ্রিল্যান্সিং

বায়ার রিকোয়েস্ট পেতে হলে প্রথমে আপনাকে গিগ মেক করতে হবে। কিভাবে আপনি বায়ার রিকোয়েস্ট পেয়ে যাবেন? উপরের চিত্রটি লক্ষ্য করুন। যেহেতু এখানে জবে বিড করতে কোন টাকা লাগে না (অন্যান্য মার্কেটপ্লেসে লাগে) তাই এখানে বিট করে আপনার স্কিল ডেভেলপ করতে পারেন। এবং আপনি দেখতে পারেন, আপনার জবে বিড করার কত পার্সেন্ট বায়ার কনভার্ট হচ্ছে। যেটা ভবিষ্যতে একজন সাকসেসফুল ফ্রিল্যান্সার হতে খুবই সাহায্য করবে

কমিউনিকেশন স্কিল ডেভেলপ করা

আপনি যদি খুব ভালো ইংরেজি বলতে পারে, তবুও নতুন অবস্থায় বায়ারের সাথে কমিউনিকেশনের স্কেলে আপনার সমস্যা সৃষ্টি হবে। আপনি যদি ভেবে থাকেন এখানে কমিনিকেশন করা খুবই কঠিন কাজ, তাহলে আপনি ভুল। আমি বলতে চাচ্ছি, নতুন অবস্থায় বায়ারের সাথে কথা বলতে জড়তা কাজ করা। নতুন অবস্থায় ক্লায়েন্টের সাথে কাজ করার সময় জড়তা কাজ করে, এটাই স্বাভাবিক। এটা সবার সাথেই ঘটেছে। আমার সাথেও এটা ঘটেছিল।

তবে আপনি কখনো ভয় পাবেন না। বায়ারের যত প্রশ্ন আছে সবগুলো উত্তর দেয়ার চেষ্টা করুন। বায়ার আসলে কি চায়, সে সম্পর্কে তাকে প্রশ্ন করুন। এবং আপনার সার্ভিসটাকে ভালো ভাবে উপস্থাপন করুন।

ফাইবারে সহজেই কাজ পাওয়া যায়

ফাইবারের যেহেতু আপনাকে জব পাওয়ার জন্য জবে বিড করা লাগে না. অর্থাৎ আপনি এখানে আপনার সার্ভিস টা কে সুন্দর করে সাজিয়ে রাখলে, আপনার কাজ পাওয়ার সম্ভাবনা আছে. তারা সহজে কাজ পাওয়া যায়। কারণ নতুন অবস্থায় জব করে বিড করে কাজ নেওয়া ফ্রিল্যান্সারদের জন্য খুবই কঠিন হয়ে যায়। তারা খুব ভালোভাবে জবে বিড করার সিস্টেম জানে না।

ফাইবারে খুবই কম কাজ শিখে ও কাজ করা যায়

ফাইবার আপনি খুবই ছোট একটি স্কিল শিখেও কাজ করতে পারেন। আপনি খুবই অল্প কাজ শিখে, সেই কাজটি একটি সার্ভিস আকারে বিক্রি করতে পারেন। যদি কোনো ক্লায়েন্টের সার্ভিসটা প্রয়োজন হয়, তাহলে আপনাকে সে নিয়োগ দেবে। এখানে যদি আমি একটি উদাহরণ দেই তাহলে আপনাদের বুঝতে আর অসুবিধা হবে

যেমন, ক্লায়েন্টের একটি ওয়েবসাইটের কিছু ভুল তথ্য গুগলের রাঙ্ক করেছে। ক্লায়েন্ট চাচ্ছে না এটা গুগলে রাঙ্ক করুক। তাই ক্লায়েন্ট মুছে ফেলতে চাই। আপনি এরকম একটা সার্ভিস তৈরি করতে পারেন, যেখানে (গুগলে অপ্রয়োজনীয় কনটেন্ট গুলো মুছে ফেলা)। একটি স্কিল দিয়াও আপনি প্রচুর ইনকাম করতে পারেন|

মোটকথা

নতুন অবস্থায় আপনার সবকিছুতেই ঘাটতি থাকে। ফাইবার ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেস এ আপনি শুরু করে আপনার এই ঘাটতি গুলো পূরণ করতে পারেন। এবং পরবর্তীতে প্রফেশনাল কোন মার্কেটপ্লেসে শুরু করতে পারেন যেমন: Upwork. যেহেতু Fiverr এ খুবই কম স্কিল দিয়ে ইনকাম করা যায়। তাই এটা নতুনদের জন্য সেরা একটি ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেস।

7 thoughts on “ফ্রিল্যান্সিং কাজ শেখার পর কোন মার্কেটপ্লেস দিয়ে কাজ শুরু করবেন?”

  1. ধন্যবাদ আপনাকে। বিগেনার লেভেলের জন্য অনেক ইনফরমেটিক একটা আলোচনা যা থেকে অনেক কিছু শিখা ও জানার আছে।

    Reply

Leave a Comment