মোবাইল দিয়ে টাকা ইনকাম! আপনারা হয়তো আমার কথাটি বিশ্বাস করতেছেন না। আপনি হয়তো ভাবতেছেন কিভাবে আমি ব্লগিং করে মোবাইল দিয়ে ইনকাম করতে পারি?
আমি সৎ হব: ব্লগিং অর্থ উপার্জনের সবচেয়ে সহজ উপায় নয় । কিন্তু, সবচেয়ে বড় বিষয় হল যে কেউ ব্লগিং করে মোবাইল দিয়ে টাকা ইনকাম করতে পারে , এবং এটি আপনার 2023 সালে আশ্চর্যজনক দেখায়।
আপনি যদি অনলাইন থেকে মোবাইল দিয়ে টাকা ইনকাম করতে চান। অবশ্যই আপনাকে এখানে পরিশ্রম করতে হবে। উদাহরণ হিসেবে আমি বলি,
আমি একজন প্রফেশনাল ফ্রিল্যান্সার এবং আমি ওয়েব ডিজাইন এবং ডেভেলপমেন্ট এবং বিভিন্ন মার্কেটপ্লেসে কাজ করি। আমি রাতারাতি অনেক টাকা ইনকাম করতে পারিনি। এজন্য আমাকে ওয়েব ডিজাইন এবং ডেভেলপমেন্ট শিখতে হয়েছে।
এখানে প্রচুর সময় ব্যয় হয়েছে এবং তারপরেই আমি ইনকাম করতে পারি। এখন আমি ইনশাল্লা যথেষ্ট ভালো ইনকাম করি।
যদি কেউ ভাবেন আমি রাতারাতি ইনকাম করে বড়লোক হব, বা রাতারাতি ইনকাম করতে পারব, তাহলে এই আর্টিকেলটি আপনার পড়ার দরকার নেই।
ব্লগিং করে মোবাইল দিয়ে টাকা ইনকাম করতে চাইলে আপনাকে যা করতে হবে তা হল ট্র্যাফিক। অর্থাৎ আপনার ব্লগ বা ওয়েবসাইটের ট্রাফিক আনতে হবে।
ট্র্যাফিক তৈরির জন্য যথেষ্ট ধৈর্য এবং নিষ্ঠা এবং একটি অনুসরণ। কিন্তু সফল ব্লগাররা কিভাবে তাদের অর্থ উপার্জন করে?
আপনারা হয়তো ভাবতেছেন কতজনবা গুগলে সার্চ করে! কিন্তু আপনি ভুল ভাবতেছেন, পৃথিবীর সবথেকে বড় সার্চ ইঞ্জিন হচ্ছে গুগোল।
আমি বাংলাদেশের বিখ্যাত কিছু ব্লগারের সাথে কথা বলেছি। এবং আমি তাদের ইনকাম দেখেছি, তারা প্রায় প্রতিনিয়ত প্রতি মাসে এক লাখ থেকে 10 লাখ টাকা পর্যন্ত ইনকাম করে বাংলা আর্টিকেল লিখে। আপনি এখনো শুরু করতেছেন না কেন!
আমি আপনাদের সঠিক গাইডলাইন দেওয়ার জন্য আজকে লিখতে শুরু করেছি। এই আর্টিকেলটি ব্লগিংকে ঘরে বসেই একটি লাভজনক ছোট ব্যবসায় পরিণত করার জন্য একটি সুনির্দিষ্ট কর্মপরিকল্পনা দেয়।
ব্লগিং করে মোবাইল দিয়ে টাকা ইনকাম 2023
হতাশা উদ্বিগ্ন কিংবা সবার বিরুদ্ধে যা খুবই কঠিন। আর এই কঠিন জিনিসটাই আপনাকে পার করতে হবে। মোবাইল দিয়ে টাকা ইনকাম 2023 এর প্রদান সোর্স হচ্ছে ব্লগিং। ব্লগিং করে আপনি প্রচুর ইনকাম করতে পারবেন, তবে এর জন্য আপনাকে ধৈর্য এবং ইচ্ছাশক্তি থাকতে হবে।
ব্লগিং করে মোবাইল দিয়ে টাকা ইনকাম করার জন্য আপনার প্রচুর পরিশ্রম করতে হবে। ছয় মাসে রেগুলার ব্লগ পোস্ট আপলোড করতে থাকুন। ছয় মাস পরে দেখবেন, আপনার ফলাফল। প্রতিমাসে 50 থেকে 60 হাজার টাকা ইনকাম করতে পারবেন।
ব্লগিং করে মোবাইল দিয়ে টাকা ইনকাম করার জন্য আপনাকে যা করতে হবে তা হল:
ব্লগার ওয়েবসাইট তৈরি করুন
ব্লগিং শুরু করার জন্য ব্লগ আপনার কাছে দুটি প্রধান বিকল্প রয়েছে – আপনি একটি বিনামূল্যে ব্লগিং প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার করতে পারেন, অথবা আপনি নিজের ওয়েবসাইট তৈরি করতে পারেন।
তবে আমি এই আর্টিকেলে শুধু ফ্রী ব্লগার নিয়ে আলোচনা করব। যেটা আপনারা আপনাদের মোবাইল দিয়ে তৈরি করতে পারেন।
যারা এই আর্টিকেলটি পড়তেছেন, আমি ধরে নিচ্ছি তাদের সবারই একটি স্মার্টফোন বা অ্যান্ড্রয়েড মোবাইল আছে।
বিনামূল্যে ব্লগিং প্ল্যাটফর্ম
মোবাইল দিয়ে টাকা ইনকাম এর জন্য ওয়েবসাইট তৈরি করার বিভিন্ন প্লাটফর্ম আছে। আজ আমি ফ্রি প্লাটফর্ম নিয়ে আলোচনা করবো, এটা তৈরি করেছে গুগল।
অনেকগুলি প্ল্যাটফর্ম আপনাকে বিনামূল্যে একটি ব্লগ সেট করতে দেবে এবং সেগুলি ব্যবহার করা খুব সহজ। আপনি যদি প্রথমে ব্লগ blogger এই তৈরি করতে চান, তবে এটি আপনার জন্য উপযুক্ত।
blogger.com ব্যবহার করে ফ্রিতে মোবাইল দিয়ে একটি ব্লগিং ওয়েবসাইট তৈরি করতে পারবেন। এর জন্য আপনার একটি অ্যান্ড্রয়েড ফোন লাগবে, ইন্টারনেট লাগবে এবং একটি জিমেইল অ্যাকাউন্ট লাগবে।
মোবাইল দিয়ে টাকা ইনকাম এর জন্য, একটা ওয়েবসাইট তৈরি করতে আপনার দুইটি জিনিস লাগবে।
- ১. ডোমেইন
- ২. হোস্টিং
যদি blogger.com দিয়ে আপনি একটি ওয়েবসাইট তৈরি করেন। তাহলে আপনাকে ডোমেইন এবং হোস্টিং তারা ফ্রিতে দিবে।
পরবর্তীতে আমি পরামর্শ দিব আপনি একটি ডোমেইন কিনবেন। এবং একটি ডোমেইন এর মূল্য এক বছরের জন্য 500 থেকে 1000 টাকা। ব্লগারের জন্য হোস্টিং সম্পূর্ণ ফ্রি।
মোবাইল দিয়ে টাকা ইনকাম এর জন্য কিভাবে একটি ব্লগিং ওয়েবসাইট তৈরি করব, এই আর্টিকেলটি পড়ুন
আর্টিকেল লেখার জন্য টপিক নির্ধারণ
মোবাইল দিয়ে টাকা ইনকাম এর জন্য টপিক নির্ধারণ, যা আপনার ব্লগ শুরু করার সবচেয়ে সহজ বা কঠিন অংশ হতে পারে।
এই পর্যায়ে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল একটি ক্যাটাগরি নির্বাচন করা – নতুনরা অনেক ভুল ক্যাটাগরি নির্বাচন করে, যার কারণে তারা সফল হতে পারে না।
উদাহরণস্বরূপ, যদি আপনি বিউটি প্রোডাক্ট নিয়ে লিখতে পছন্দ করেন, তাহলে আপনি বিউটি প্রোডাক্ট নিয়ে প্রতিনিয়ত আর্টিকেল লিখতে পারেন।
যেমন আমি একজন ফ্রিল্যান্সার। আমি অনলাইন ইনকাম নিয়ে আর্টিকেল লিখতে পছন্দ করি। তাই আমি আমার এই ওয়েবসাইটটি তৈরি করছি অনলাইনে ইনকাম এর ওপর ভিত্তি করে।
মোবাইল দিয়ে টাকা ইনকাম এর জন্য ইতিমধ্যে কে সফল? কি সম্পর্কে আর্টিকেল লিখলে বেশি ভিজিটর পাওয়া যাবে? এবং কি অনুপস্থিত? সার্চ ইঞ্জিনের ফাঁকা খুঁজুন। কোন বিষয়ে আর্টিকেল লিখে গুগলে সহজে রেঙ্ক করানো যাবে। এবং কোন ক্যাটাগরিতে প্রচুর ভিজিটর পাওয়া যাবে, এ সম্পর্কে রিসার্জ করুন। মোবাইল দিয়ে টাকা ইনকাম এর জন্য এটি আপনার প্রথম কাজ হওয়া উচিত।
মোবাইল দিয়ে অনলাইন ইনকাম যে সম্ভব আপনি কি এটা প্রমান দেখতে চান? তাহলে এই আর্টিকেলটি পড়ুন
3 টি মাধ্যমে মোবাইল দিয়ে টাকা ইনকাম | অনলাইন ইনকাম মোবাইল দিয়ে
কিভাবে আপনার ব্লগ ট্রাফিক বাড়ানো যায়
মোবাইল দিয়ে টাকা ইনকাম এর জন্য, আপনি আপনার ব্লগ ওয়েবসাইট তৈরি করার পরে, এক গাধা ব্লগ বিষয় নিয়ে আসুন এবং আপনি আপনার পোস্টগুলি প্রকাশ শুরু করেছেন, বড় প্রশ্ন হল-সব পাঠক কোথায়?
আপনি আশা করতে পারেন না যে, মানুষ জাদুকরীভাবে আপনার ব্লগ খুঁজে পাবে এবং এটি পড়া শুরু করবে। আপনাকে এটি প্রচার করতে হবে!
আপনার ব্লগের জন্য আরও পাঠক পাওয়ার সেরা এবং সহজ উপায়গুলি এসইও এবং ডিজিটাল মার্কেটিং
ডিজিটাল মার্কেটিং:
মোবাইল দিয়ে টাকা ইনকাম এর জন্য, আপনি যদি ব্লগিং-এর ভালো করতে চান এবং ভালো ট্রাফিক পেতে চান, তাহলে অবশ্যই আপনাকে সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং করতে হবে।
আমরা ফেসবুক, টুইটার, ইনস্টাগ্রাম, স্ন্যাপচ্যাট এবং এমনকি লিঙ্কডইন -এ আপনার ব্লগের জন্য অ্যাকাউন্ট সেট -আপ করার সুপারিশ করছি।
এবং সব থেকে গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে quora. অবশ্যই আপনি quora তে আপনার ব্লগের জন্য মার্কেটিং করবেন।
মোবাইল দিয়ে টাকা ইনকাম এর জন্য quora তে যদি আপনি সঠিকভাবে মার্কেটিং করতে পারেন, তাহলে এখান থেকে আপনি অনেক, অনেক , অনেক বেশি ট্রাফিক পাবেন।
আপনার ব্লগকে বৃহত্তর শ্রোতাদের কাছে পৌঁছাতে সাহায্য করার জন্য, অথবা আরো বেশি লাইক তৈরির জন্য একটি প্রতিযোগিতা চালানোর জন্য আপনি কিছু অর্থ প্রদানের বিজ্ঞাপনেও করতে পারেন ।
মোবাইল দিয়ে টাকা ইনকাম এর জন্য, একবার আপনি অনুসারীদের পেয়ে গেলে, নিয়মিতভাবে পোস্ট করে তাদের আগ্রহী রাখুন
সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন:
মোবাইল দিয়ে টাকা ইনকাম এর জন্য, আপনার ব্লগে অনেক অনেক বেশি ট্রাফিক পাওয়ার জন্য এসইও (সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন) করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
এসইও সাধারণত দুই ধরনের, অনপেজ এসইও ও অফ পেজ এসইও।
- অফ পেজ এসইও কি? অনপেজ এসইও এর গুরুত্ব
- SEO কি? সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন কি? What Is SEO ?
- এসইও ফ্রেন্ডলি রাইটিং, ব্লগ পোস্ট লেখার ১০টি টিপস যা গুগলে রাঙ্ক করবে
- টেকনিক্যাল এসইও কি? টেকনিক্যাল এসইও কেন গুরুত্বপূর্ণ?
আপনার ওয়েবসাইট যদি নির্দিষ্ট একটি টপিকের উপর হয় এবং সেই টপিকের যদি আপনার ওয়েবসাইট সার্চ রেজাল্ট গুগোল টপে থাকে।
অর্থাৎ কোন ভিজিটর যদি সেই টপিকের উপর তথ্য পড়তে চাই এবং সে যদি সার্চ ইঞ্জিনের সার্চ করে এবং আপনার ব্লগ ওয়েবসাইট খুঁজে পায়। তাহলে আপনি প্রচুর ট্রাফিক পাবেন।
মোবাইল দিয়ে টাকা ইনকাম এর জন্য, আপনার ওয়েবসাইটটি আপনার টার্গেট কিওয়ার্ড দিয়ে গুগোল টপ এ আনার নাম হচ্ছে এসইও
আপনার ওয়েবসাইটে অনেক অনেক বেশি ট্রাফিক আনার জন্য এসইওর কোন বিকল্প নাই।
অন্যান্য ব্লগারদের সাথে যোগাযোগ করুন:
একই রকম বিষয় নিয়ে ব্লগিং করে এমন অন্য ব্লগারদের কাছে নিজেকে পরিচিত করুন। আপনি টেকনিক্যালি একজন প্রতিদ্বন্দ্বী হওয়া সত্ত্বেও, ব্লগার সম্প্রদায় কতটা সহায়ক হতে পারে তা দেখে আপনি বিস্মিত হবেন।
ব্লগারদের সাথে পরিচয় হওয়ার জন্য, আপনি ফেসবুকে বিভিন্ন ব্লগার হেল্প গ্রুপে জয়েন হতে পারেন।
ভালো ব্লগারদের সাথে ভালো সম্পর্ক তৈরী করুন, তাদের ওয়েবসাইটে আপনার ওয়েবসাইটের ব্যাকলিংক অবশ্যই নিবেন।
ব্যাকলিংক আপনার ব্লগ ওয়েবসাইটের এসইও (এটি সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন) এর সাথে ব্যাপকভাবে সাহায্য করবে।
ভাইরাল কন্টেন্ট তৈরি করুন:
ভাইরাল কন্টেন্ট তৈরি করা আপনাকে নতুন বাজারে পৌঁছাতে সাহায্য করবে এবং পরিবর্তে আপনার পাঠক সংখ্যা বাড়াবে।
আপনি এমন একটি আর্টিকেল পোস্ট করতে সক্ষম হবেন যা লোকেরা পড়তে, ভাগ করতে এবং কথা বলতে চায়।
ভিজিটরদের মতামত পোস্ট করার জন্য অবশ্যই একটি কমেন্ট বক্সে রাখবেন। যাতে ভিজিটররা কমেন্ট বক্সে তার মতামত রাখতে পারে।
শেষ কথা
মোবাইল দিয়ে টাকা ইনকাম করার শুধুমাত্র একটি মাধ্যম নিয়ে আলোচনা করছি, সেটি হচ্ছে ব্লগিং। এই ব্লগ আপনাকে নির্ভরযোগ্য ইনকাম দিবে। আপনি খুব সহজেই মোবাইল দিয়ে ব্লগ সাইট ম্যানেজমেন্ট করতে পারেন।
এছাড়া মোবাইলে ইনকাম করার আরও অনেকগুলো মাধ্যম রয়েছে। আপনি যদি এরকম আরো নির্ভরযোগ্য মাধ্যম সম্পর্কে আরো বিস্তারিত জানতে চান, তাহলে অবশ্যই এই সাইটের “মোবাইল” লেখাটি সার্চ বাটনে লিখে সার্চ দিন। তাহলে খুঁজে পাবেন।
এরকম অনলাইন ইনকাম বিষয় টিপস-এন্ড-ট্রিকস আপডেট পেতে অবশ্যই আমাদের সাথেই থাকুন। আর্টিকেলটি সম্পূর্ণ মনোযোগ দিয়ে পড়ার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।
Hi
Nice to video
Yes ! Sir I want to do this.but now what I do first
You need to create a website first. Then write your own content on that website.
nice
অনেক ভালো লাগলো,,,,,দোয়া করি ভালো কিছু করেন,,,,,,
আপনাকেও ধন্যবাদ। নিয়মিত এরকম সুন্দর টিপস পেতে আমাদের সাথেই থাকুন।