কিডনি ভালো রাখার উপায় ১০০% কার্যকর

আজকে আমি কিডনি ভালো রাখার উপায় নিয়ে আলোচনা করব। অর্থাৎ যে কাজগুলো করে আপনি আপনার নিজের কিডনি ভালো এবং সুস্থ রাখতে পারবেন।

কিডনি ভালো রাখার উপায়
কিডনি ভালো রাখার উপায়

বর্তমান সময়ে কিডনির সমস্যা যেন একটি কমন রোগ হয়ে উঠেছে কিডনি রোগের চিকিৎসা অনেক ব্যয়বহুল যা সাধারণ মানুষের পক্ষে সম্ভব নয় তাই 10টি কিডনি ভালো রাখার উপায় সম্পর্কে আলোচনা করব।

6টি কিডনি ভালো রাখার উপায় ১০০% কার্যকর

কিডনি সুস্থ রাখা কঠিন কাজ নয়। আপনি শুধু নিয়ম মাফিক চলবেন, তাহলে আপনার কিডনি ভালো এবং সুস্থ থাকবে এবং কিডনি রোগ থেকে আপনি সুস্থ থাকবেন।  

এখানে আলোচনা করা 6 টি বিষয় আপনি যদি ভাল ভাবে খেয়াল রাখেন, তাহলে অবশ্যই আপনার কিডনি ভালো রাখার পারবেন। কিডনির পাথর, ইনফ্ল্যামেশন, রেনাল ফেইলুর, নেফরোটিক সিন্ড্রম ও সিস্টের সমস্যা হলে কিডনি নষ্ট হয়ে যাওয়ার শঙ্কা থাকে। 

6টি কিডনি ভালো রাখার উপায় সম্পর্কে নিচে আলোচনা করা হল যা 100%  কার্যকর

পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান:

কিডনিতে রুখার প্রধান কারণ হচ্ছে পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি ইন পান না করা। কিডনি সুস্থ রাখার জন্য বিশুদ্ধ এবং পর্যাপ্ত পানি পান করার কোনো বিকল্প নেই।  অর্থাৎ আপনি যদি আপনার কিডনি সুস্থ্য রাখতে চান তাহলে আপনাকে পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান করতে হবে।

আপনি যদি একজন প্রাপ্তবয়স্ক হন, তাহলে আপনাকে কিডনি সুস্থ রাখার জন্য প্রতিদিন 8 থেকে 10 গ্লাস বিশুদ্ধ পানি পান করতে হবে। সুতরাং এখন থেকেই সাবধান হোন এবং পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান করুন।

মূত্র বিসর্জন এ বাধা দেওয়া

কিডনিতে সমস্যা হওয়ার আরেকটি প্রধান কারণ হচ্ছে প্রসাব আটকে রাখা। অর্থাৎ আপনার এখন প্রসাব ধরেছে আপনি 2 ঘণ্টা পরে প্রসাব করলেন অথবা আরও অনেক সময় প্রসাব করলেন,  এর ফলে আপনার কিডনিতে সমস্যা হবে।

সুতরাং এখন থেকেই সাবধান হোন। যদি প্রসাব আটকে রাখার আপনার বদ অভ্যাস না থাকে, তাহলে এই অভ্যাস ত্যাগ করুন। নিয়মমাফিক প্রসাব করুন। যখনই আপনার প্রসাব বের হবে, তখনই প্রসাব করুন।

পেইনকিলার বা ব্যথার বড়ি

অনেকেই আছে যাদের শরীরে ব্যথা হলে তারা পেইনকিলার ব্যাথার বরি খায়। ব্যাথার বরি এটা কিডনির জন্য খুবই মারাত্মক একটি ঔষধ। এর কারণে আপনার কিডনি  ডেমেজ হওয়ার সম্ভাবনা খুবই বেশি।

সুতরাং আপনার শরীরে ব্যথা বা অন্য কোন কারণে যদি আপনার পেইনকিলার খাওয়ার অভ্যাস থাকে, তাহলে এখনই  পেইনকিলার খাওয়া বন্ধ করুন। ব্যথা নাশক হিসেবে ব্যথার মলম ব্যবহার করা অভ্যাস গড়ে তুলুন।

ডাক্তারের পরামর্শ ছাড়া কখনই পেইনকিলার খাবেন না। যথাসম্ভব পেইনকিলার থেকে দূরে থাকার চেষ্টা করবেন। কারণ এটি কিডনির জন্য খুবই খুবই বেশি ক্ষতিকর।

ধূমপান ও মদ্যপান

আপনার যদি ধূমপানের মতো বাজে অভ্যাস থাকে তাহলে এটাকে নিয়ন্ত্রণ করুন। ধূমপান ফুসফুসের ক্যান্সারসহ কিডনির রোগের কারণ হয়ে ওঠে। ধূমপান করা আসলেই শরীরের জন্য ভালো নয় সুতরাং এটা ত্যাগ করাই আপনার জন্য উত্তম।

আপনি যদি রেগুলার ধূমপান এবং মদ্যপান করে থাকে তাহলে তা কমিয়ে ফেলুন। কারণ রেগুলার এই বাজে অভ্যাসের কারণে আপনার কিডনি ডেমেজ হওয়া থেকে শুরু করে শরীরের আরো অন্যান্য অসুখ তৈরি করে।

অস্বাভাবিক ওজন বৃদ্ধি

অস্বাভাবিকভাবে ওজন বৃদ্ধি কিডনি রোগের ঝুঁকিতে ফেলে দেয়। অর্থাৎ আপনার  যাতে অস্বাভাবিকভাবে ওজন বৃদ্ধি না হয়, সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। ওজন বৃদ্ধির জন্য অনেকেই অনেক ঔষধ’ সেবন করে আপনি যদি এরকম করে থাকেন তাহলে এখনি তা পরিত্যাগ করুন।

 স্বাভাবিক এবং প্রাকৃতিক নিয়মে আপনার যদি অসুবিধা হয় তাহলে ঠিক আছে। কিন্তু কোন অসৎ উপায়ে ওজন বৃদ্ধি করার চেষ্টা করবেন না। এতে লাভের থেকে আপনার ক্ষতি বেশি হবে।

ইউটিউব অ্যাপস ডাউনলোড

শেষ কথা:

কিডনি ভালো রাখার জন্য আমি কিছু বাজে অভ্যাস বন্ধ করার জন্য বলেছি,  এই বাজে অভ্যাস গুলো   বন্ধ করা আপনার শরীরের জন্যই উত্তম। শরীর ভালো থাকলে মন ভালো থাকবে আর মন ভালো থাকলে সবকিছুই ভালো থাকবে।

সুতরাং আপনার নিজের শরীরের যত্ন নিন এবং অবশ্যই আপনার কিডনির যত্ন নিন। উপরোল্লেখিত আপনার যদি কোন একটি বাজে অভ্যাস থাকে তাহলে সেই বাজে অভ্যাস গুলো এখনই বন্ধ করুন।

কিডনি ভালো রাখার উপায় সম্পর্কে আপনার অধিক কোন প্রশ্ন বা পরামর্শ থাকে তাহলে অবশ্যই কমেন্ট করে জানাতে পারেন আমি সমস্ত কমেন্টের উত্তর দেওয়ার চেষ্টা করব।

কিডনি ভালো রাখার উপায় আর্টিকেলটি সম্পূর্ণ করার জন্য আপনাদের সকলকে অসংখ্য ধন্যবাদ

Leave a Comment