কিভাবে মোবাইল দিয়ে ব্লগিং শুরু করবেন? (বিস্তারিত গাইড)

মোবাইল দিয়ে ব্লগিং ইনকাম করা যায়, মোবাইল দিয়ে ব্লগিং করে অনলাইনে ইনকাম করুন ইত্যাদি শব্দ শুনতে শুনতে আপনারা বিরক্ত। কিন্তু মোবাইল দিয়ে ব্লগিং শুরুটা কিভাবে করবেন? এ সম্পর্কে আপনারা জানেন না। এবং কেউ আপনাকে বলে না! কোথা থেকে শুরু করব এবং কি কি করতে হবে ইত্যাদি ইত্যাদি। 

মোবাইল দিয়ে ব্লগিং এর শুরুটা কিভাবে করবেন? আজ আমি এই বিষয় নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করব। যারা এডসেন্স দিয়ে ওয়েবসাইটের মাধ্যমে অর্থাৎ মোবাইল দিয়ে ব্লগিং-এর মাধ্যমে ইনকাম করতে চান, তাদের জন্য এটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি আর্টিকেল হবে। কথা না বলে চলুন শুরু করি

ব্লগিং এবং এডসেন্স কি?

মোবাইল দিয়ে টাকা ইনকাম
মোবাইল দিয়ে টাকা ইনকাম

এডসেন্স হলো গুগলের একটি প্রতিষ্ঠান, যা আপনার ওয়েবসাইটে বা আপনার ইউটিউব চ্যানেলে বিজ্ঞাপন দিবে। ব্লগিং করে এডসেন্সের মাধ্যমে ইনকাম করার জন্য আপনাকে প্রথমে আপনার ওয়েবসাইটকে অ্যাডসেন্সে অ্যাপ্রভাল করাতে হবে।

আপনি যদি এডসেন্স সম্পর্কে আরো বিস্তারিত জানতে চান, তাহলে এই আর্টিকেল টা দেখতে পারেন

গুগল অ্যাডসেন্স কি ? Google আমাদেরকে কেন টাকা দিবে? (বিস্তারিত গাইড)

আপনারা সবাই জানেন একটি ইউটিউব চ্যানেল কে মনিটাইজেশন বা  অ্যাডসেন্সে অ্যাপ্রভাল নিতে এক বছরে 4000 ঘন্টা ওয়াচ টাইম এবং লাইফটাইম 1000 সাবস্ক্রাইবার লাগে। 

তবে আপনি যদি একটি ব্লগিং ওয়েবসাইট বা আপনার নিজস্ব ওয়েবসাইটে অ্যাডসেন্স অ্যাপ্রুভাল পেতে চান, তাহলে আপনাকে এরকম কঠিন  কিছু করতে হবে না। ওয়েবসাইটটি সম্পূর্ণ রেডি করতে হবে এবং ওয়েবসাইটে পর্যাপ্ত কনটেন্ট থাকতে হবে।

ওয়েবসাইটে অ্যাডসেন্স অ্যাপ্রুভাল পেতে হলে আপনার নিচের কাজগুলো করতে হবে:

  1. আপনার ওয়েবসাইটে সম্পূর্ণ রেডি করুন:
  2. ওয়েবসাইটে পর্যাপ্ত কনটেন্ট দেন
  3. এবং এডসেন্স এর জন্য আবেদন করুন

কিভাবে মোবাইল দিয়ে ব্লগিং শুরু করবেন?

মোবাইল দিয়ে ব্লগিং করে ইনকাম করতে চাইলে সর্বপ্রথম আপনাকে একটি ওয়েবসাইট বানাতে হবে। এখন আপনার মনে একটি প্রশ্ন আসতে পারে, আমি কিভাবে মোবাইল দিয়ে একটি ওয়েবসাইট তৈরি করব?

এর উত্তর হচ্ছে আপনাকে যে ওয়েবসাইট তৈরি করতে হবে, এটা কে বলেছে? আপনি অন্য কারো সাহায্য নিয়েও তো একটি ওয়েবসাইট তৈরি করতে পারেন।

আপনি ফেসবুকে অনেক  নতুন ওয়েব ডিজাইন, ওয়ার্ডপ্রেস শিখতেছে এমন নতুন ফ্রিল্যান্সার খুঁজে পাবেন। আপনি যদি ফেসবুকে গ্রুপে একটি পোস্ট দেন, তাহলে দেখবেন অনেকেই আপনাকে ফ্রিতে করে দিতে চাচ্ছে। তাদের সাথে পরিচিত হন এবং তাদের সাহায্য নিয়ে নিজের একটি হচ্ছে তৈরি করে ফেলুন। অথবা অল্পকিছু টাকা দিয়ে তাদেরকে ভাড়া করতে পারেন।

এখন আপনার মনে আরেকটি প্রশ্ন আসতে পারে, একটি ওয়েবসাইট তৈরি করতে কত টাকা লাগবে?

একটি ওয়েবসাইট তৈরি করতে 100 কোটি টাকাও লাগে আবার 100 টাকা দিয়ে তৈরি করা যায়। দাম নির্ভর করে ফাংশনালিটি এবং এর পারফর্মেন্স এর ওপর। যেহেতু আপনি একটি ব্লগ ওয়েবসাইট তৈরি করবেন এটা তৈরি করতে বেশি টাকা লাগবে না।

ফেসবুক গ্রুপে দুই তিন থেকে 400 টাকা খরচ করে একটি সুন্দর ওয়েবসাইট পাবেন অথবা আপনি ফাইবারে 5 ডলারে কোন ফ্রীলান্সারকে Hire  করতে পারেন।

যদি আপনি ওয়ার্ডপ্রেস দিয়ে তৈরি করেন, তাহলে আপনি অনেক ফ্রি থিম আছে এগুলো ব্যবহার করতে পারেন এবং সেই থিমের ডেমো ইনস্টল করে আপনার লোগো এবং নামগুলো বসাতে পারেন।

ফ্রিতে ওয়েবসাইট বানিয়ে নেয়ার জন্য ফেসবুকে আপনি বিভিন্ন ওয়েব ডিজাইন ডেভলপার গ্রুপে এবং ফ্রিল্যান্সিং গ্রুপে যুক্ত হন এবং সেখানে একটি পোষ্ট দেন তাহলেই অনেক নতুন ওয়েবসাইট ডিজাইনার খুঁজে পাবেন।

আমি আমার ওয়েবসাইটে প্রিমিয়াম থিম ব্যবহার করব এবং এগুলা কিভাবে ফ্রিতে পাব?

গুগল এডসেন্স ওয়েবসাইটের জন্য আপনি যদি কোন প্রিমিয়াম থিম ফ্রিতে নিতে চান, তাহলে আপনাকে ইন্টারনেটে খুঁজতে হবে। এমন অনেক ওয়েবসাইট পাবেন, যাদের কাছ থেকে আপনি ফ্রিতে প্রিমিয়াম থিম গুলো পাবেন।

ইন্টারনেটে আরো অনেক ওয়েবসাইট পাবেন, যেখানে আপনি ফ্রিতে অনেক প্রিমিয়াম থিম পাবেন। তবে সেই থিমগুলোতে ভাইরাস থাকে, তাই সাবধান। 

বিশেষ দ্রষ্টব্য: আমার দেওয়া লিংকওয়েবসাইটে আপনি কোন ভাইরাসযুক্ত থিম পাবেন না।

এখন আপনার মনে আরেকটি প্রশ্ন আসতে পারে, ফ্রিতে ওয়েবসাইট তৈরি করলে কি এডসেন্স পাব?

গুগল এডসেন্স আপনার ওয়েবসাইট কত টাকা দিয়ে তৈরি করছেন, এটা দেখে না। গুগল এডসেন্স দেখে আপনার ওয়েবসাইট ইউজাররা সহজেই ভিজিট করতে পারে কি-না এবং  আপনার ওয়েবসাইটে যথেষ্ট কনটেন্ট আছে কি-না।

যদি আপনার ওয়েবসাইটে যথেষ্ট কনটেন্ট থাকে, তাহলে আপনার ওয়েবসাইটে গুগলের এডসেন্স এপ্রোভ করবে।

আপনার জন্য গুরুত্বপূর্ণ:

অনলাইনে আয় এর 5টি সেরা উপায়

অনলাইনে ইনকাম করার উপায়- কোন স্কিলের উপর আপনার কাজ শেখা উচিত!

মোবাইল দিয়ে ব্লগিং করে কত টাকা ইনকাম করা যায়:

মোবাইল দিয়ে ব্লগিং বা এডসেন্স এর ইনকাম সাধারণত আপনার ওয়েবসাইটে ভিজিটর দিয়ে আসে। আপনার ওয়েবসাইট কি দিয়ে তৈরি? ভিজিটর এটা দেখে না। আপনার ওয়েবসাইটে যদি সত্য এবং আসল কনটেন্ট থাকে, যাতে যেটা পড়ে ভিজিটররা উপকৃত হতে পারে, তাহলেই আপনার ওয়েবসাইটে ভিজিটর আসবে।

সুতরাং এডসেন্স থেকে ইনকাম করার জন্য আপনার ওয়েবসাইটে কালার স্টাইল এটা ম্যাটার না।আপনার ওয়েবসাইটে যদি আপনি রেগুলার এরকম কনটেন্ট দিতে পারেন, যেটা পড়ে ভিজিটররা উপকৃত হতে পারে। তাহলে আপনার ওয়েবসাইটে প্রচুর ভিজিটর আসবে এবং আপনি এডসেন্স থেকে প্রচুর ইনকাম করতে পারবেন।

আমি এমন একজনকে চিনি, যিনি মোবাইল ব্যবহার করে এডসেন্স দিয়ে প্রতি মাসে 60 থেকে 70 হাজার টাকা ইনকাম করে। সুতরাং আপনি যদি এখানে পরিশ্রম করেন, তাহলে আপনিও তার মত এমনকি আরো বেশি ইনকাম করতে পারবেন।

আপনার যদি বিশ্বাস না হয়, তাহলে এই আর্টিকেলটি পড়ুন

মোবাইল দিয়ে ব্লগিং ইনকাম প্রমাণ দেখুন

এডসেন্স এর জন্য আবেদন করব কিভাবে?

এডসেন্স এর জন্য আবেদন করতে হলে আপনাকে গুগল এডসেন্স এর নিজস্ব অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে যেতে হবে। সেখানে আপনার আসল নাম এবং ইনফরমেসন দিয়ে পরবর্তী কাজটুকু করতে হবে।

এখন আপনার প্রশ্ন হতে পারে, কোথায় কি তথ্য দিব? এগুলো তো আমি জানি না। এগুলা কিভাবে জানব?

ওয়েবসাইটের জন্য গুগল এডসেন্স এর আবেদন করা খুবই সহজ। তবে আপনি যদি এগুলো করতে না পারেন তাহলে ইউটিউবে গিয়ে সার্চ দেন,  “ওয়েবসাইটের জন্য এডসেন্স আবেদন” 

ইউটিউবে আপনি অনেক ভিডিও পাবেন, এখান থেকে এডসেন্সের আবেদনের ভিডিওটা আপনি দেখে নিতে পারেন।

আপনি কি জানেন আপনার ওয়েবসাইটে দ্রুত এডসেন্স পেতে হলে আপনাকে কি কি করতে হবে? না জানলে এই আর্টিকেলটি দেখতে পারেন

সাইটে দ্রুত ও সহজে গুগল এডসেন্স পাওয়ার উপায়

শেষ কথা:

মোবাইল দিয়ে ব্লগিং কাজ শুরুর আগে কি করব? কিভাবে করব ? ইত্যাদি ইত্যাদি প্রশ্ন আপনার একাধিক থাকতে পারে কিন্তু অনেক প্রশ্নের উত্তর আপনি নাও জানতে পারেন । তবে এর জন্য আপনি কাজ অফ করবেন নাযদি একবার কাজ করা অফ করে দেন, তাহলে আপনি কখনো কাজ শুরু করতে পারবেন না।

সুতরাং মোবাইল দিয়ে ব্লগিং কাজ শুরু করার সমস্ত প্রসেস জেনে নিন এবং কাজ শুরু করে দিন। যদি সমস্যায় পড়েন, তাহলে ফেসবুক ওয়েব ডিজাইন, ওয়াডপ্রেস,  ফ্রিল্যান্সিং, ব্লগিং ইত্যাদি গ্রুপে যুক্ত হন এবং বিভিন্ন গ্রুপে সাহায্য চান। সুতরাং এখান থেকে আপনি ফ্রিতে সাহায্য পাবেন। 

এখনই আপনি ওয়েবসাইটটি সম্পন্ন করুন এবং আপনার ওয়েবসাইটে পর্যাপ্ত কনটেন্ট দিয়ে এডসেন্স এর জন্য আবেদন করুন।আপনার জন্য শুভকামনা

কোন সাহায্য বা কোন প্রশ্ন থাকলে অবশ্যই কমেন্ট করে জানান। আমাদের ওয়েবসাইটের সাথেই থাকুন। এ আর্টিকেলটা পড়ে যদি উপকৃত হন, অবশ্যই শেয়ার করতে ভুলবেন না। সাথে থাকার জন্য সবাইকে অসংখ্য ধন্যবাদ।😁😁 soriful islam

147 thoughts on “কিভাবে মোবাইল দিয়ে ব্লগিং শুরু করবেন? (বিস্তারিত গাইড)”

  1. Very Very important Content. Thanks so much.
    Safe life technology is the best water filter, CCTV, Geyser selling company in Bangladesh.
    Best Water Filter -karofi water purifier,sanaky water purifier,deng yuan,kangaroo water purifier eureka water purifier. water filter price in bd,water purifier price in bangladesh,

    Reply
  2. অনেক কিছু জানতে পারলাম ওয়েবসাইট বানানো এবং ব্লগিং সম্পর্কে, খুবই তথ্যবহুল কন্টেন্ট তৈরি করেছেন।

    Reply
  3. Very very bountiful website Very trastet application very good
    Very important website Very trastet website Very trastet application very good Very helpful website

    Reply
  4. আপনাকে অনেক ধন্যবাদ এতো সুন্দর একটি ব্লক লেখার জন্য

    Reply
  5. খুবই গুরুত্বপূর্ণ পোস্ট ব্লগিং সম্পর্কে জানতে পারলাম।

    Reply
  6. ব্লগিং করে অনলাইন থেকে আয় করা যায় এটা আমার জানা ছিল না ,খুব সুন্দর ভাবে ব্যাখা করেছেন। ধন্যবাদ। আপনার ব্লগ পড়ে আমিও শুরু করবো ভাবছি।

    Reply
  7. These are very important contents. Bloging is very creative ways to earn money online. Best tips from your site. Thanks

    Reply
  8. অনেক ভালো লাগলো আপনার ব্লগ পড়ে।আমিও একটা ব্লগিং সাইট খুলেছি।

    Reply
  9. খুব সুন্দর ভাবে ব্যাখা করেছেন। ধন্যবাদ।

    Reply
  10. ধন্যবাদ প্রিয় ভাই এত্ত কিছু সহজে জানিয়ে দেওয়ার জন্য 🥰

    Reply

Leave a Comment