ওয়েবসাইট এ সহজে গুগল এডসেন্স পাওয়ার উপায় নিয়ে যাদের মনে এত দিন থেকে বিভিন্ন সংশয়, সন্দেহ, সন্দেহ নিরাশা ছিল অর্থাৎ যারা ওয়েবসাইটে গুগল অ্যাডসেন্স পাওয়া নিয়ে হতাশায় ছিলেন, তাদের জন্য সুখবর। আজকে আমি আপনাদের সহজে ও দ্রুত ওয়েবসাইটে গুগল অ্যাডসেন্স পাওয়ার উপায় গুলো দেখাব। আপনার ওয়েবসাইটে দ্রুত ও সহজে গুগল এডসেন্স পাওয়ার জন্য এই এ আর্টিকেলটা মনোযোগ সহকারে পড়ুন।
ওয়েবসাইট গুগল এডসেন্স পাওয়ার জন্য ব্লগাররা সর্বোচ্চ চেষ্টা করে, কিন্তু সহজে গুগল এডসেন্স পাওয়ার উপায় ও সঠিক ইনফরমেশন না জানার কারণে সবাই গুগল এডসেন্স পাই না।
ব্লগিং করে ওয়েবসাইট থেকে ইনকাম করার জন্য সর্বপ্রথম আমাদেরকে ওয়েবসাইট গুগোল অ্যাডসেন্সে অ্যাপ্রুভ করতে হবে। সেই জন্য প্রথমত গুগল এডসেন্স পাওয়ার উপায় জেনে নেওয়া প্রয়োজন। তা না হলেগুগল এডসেন্স এর জন্যে আবেদন বার বার করা সত্বেও এডসেন্স অনুমোদন হবে না।
এডসেন্স এর জন্য গুরুপ্তপুর্ণ কিছু টিপস অনুসরণ করে চেষ্টা করলে খুব সহজেই অল্প দিনে গুগল এডসেন্স এপ্রোভ করা যায়। গুগল এডসেন্স পাওয়ার জন্য এডসেন্স আবেদন করার পূর্বে আপনাদের কী কী করতে হবে?
আজ আমি সে বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করব। আজকের পোস্ট পড়লে আপনি সহজে গুগল এডসেন্স পাওয়ার উপায় গুলো সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পারবেন।
আপনি যদি গুগল অ্যাডসেন্স কি ? Google আমাদেরকে কেন টাকা দিবে? (বিস্তারিত গাইড) তা না জানলে..
গুগল এডসেন্স আবেদন করার পূর্বে করনীয়:
নতুন যারা ব্লগিং করে ওয়েবসাইট ইনকাম করতে চাই তাদের মধ্যে অধিকাংশ লোক কোন কিছু না বুঝে ব্লগে কয়েকটি পোস্ট পাবলিশ করে গুগল এডসেন্স পাওয়ার জন্য আবেদন করে। বার বার আবেদন করার পরেও এডসেন্স এপ্রুভ হয় না। এবং একসময় তারা হতাশ হয়ে যায়।
আপনি যদি এডসেন্স আবেদন করার পূর্বে সহজে গুগল এডসেন্স পাওয়ার উপায় টিপস গুলো অনুসরণ করে আবেদন করেন, তাহলে আপনি সহজে গুগল এডসেন্স পেয়ে যাবেন। গুগল এডসেন্স আবেদন করার পূর্বে আপনার করণীয় কাজগুলো সম্পর্কে নিচে বিস্তারিত আলোচনা করা হলো:
প্রিমিয়াম ডোমেইন:
ডোমেইন আপনার ওয়েবসাইটের ঠিকানা প্রকাশ করে। সুতরাং এটা সহজ – ছোট এবং অর্থবোধক হওয়া আপনার ব্লগের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এছাড়া ওয়েবসাইটে গুগল এডসেন্স অনুমোদন পাওয়ার জন্য ডোমেইন খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
দ্রুত গুগল অ্যাডসেন্স পাওয়ার উপায় হলো প্রিমিয়াম ডোমেইন ব্যবহার করা। আপনি চেষ্টা করবেন আপনার অনলাইন ব্লগের জন্য .com, .org, .tech .in ইত্যাদি ডোমেইন নাম ব্যবহার করেন। কারণ গুগোল এই নামে ডোমেইনগুলো কে বেশি প্রাধান্য দেই। কাস্টম ডোমেইন সহজে গুগল এডসেন্স পাওয়ার উপায় গুলোর মধ্যে একটি।
একসময় blogger.com ও wordpress.com ইত্যাদিতে সাবডোমেইন ক্রিয়েট করেও গুগল এডসেন্স পাওয়া যেত। তবে এখন সাবডোমেইন ক্রিয়েট করে গুগল অ্যাডসেন্স এপ্রুভ পাওয়া খুবই কঠিন হয়ে গেছে। কাজেই দ্রুত এবং সহজে গুগল অ্যাডসেন্স এপ্রোভ পাওয়ার জন্য কাস্টম ডোমেইন কেনা উচিত।
এছাড়া গুগল সার্চ ইঞ্জিন কাস্টম প্রিমিয়াম ডোমেইন কে সার্চ রেজাল্টে গুরুত্ব দেই। অর্থাৎ আপনার যদি কাস্টম প্রিমিয়াম ডোমেইন থাকে, তাহলে গুগল সার্চে আপনি খুব সহজেই র্যাঙ্কিংয়ে আসতে পারবেন। কিন্তু সাবডোমেন এক্ষেত্রে আপনি বেশি বেশি সুবিধা পাবেন না।
এখন অনেকের মনে প্রশ্ন হতে পারে
ফ্রি ডোমেইনে কি এডসেন্স এপ্রোভ হয় না?
কনটেন্ট ভালো এবং বেশি ভিজিটর পাওয়া গেলে এখনো ব্লগস্পট সাব-ডোমেন গুগল এডসেন্স এপ্রোভ হবে। তবে আমি মনে করি, যেহেতু আপনি এখান থেকে ইনকাম করবেন। অবশ্যই আপনার ব্লগের একটি ইউনিক নাম থাকা উচিত। যাতে আপনার ভিজিটররা সহজে খুজে পাই।
ইউজার ফ্রেন্ডলি ডিজাইন এবং ফাস্ট লোডিং:
অ্যাডসেন্স পাওয়ার ক্ষেত্রে ব্লগের ডিজাইন কতটা গুরুত্বপূর্ণ নয়। তবে ওয়েবসাইটের বাউন্স রেট কমাতে এবং ওয়েবসাইটের ট্রাফিক ধরে রাখতে ইউজার ফ্রেন্ডলি ডিজাইন করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। ওয়েবসাইট থিম অবশ্যই মোবাইল ফেন্ডলি এবং দেখতে আকর্ষণীয় হতে হবে। ভিজিটররা যাতে সহজে যেকোন ডিভাইস থেকে ব্লগের আর্টিকেল গুলো সহজে পড়তে পারে।
এছাড়া আপনার ওয়েবসাইটিতে ফাস্ট লোডিং হওয়া উচিত তাহলে আপনার ওয়েবসাইট বাউন্স রেট কমে যাবে। ওয়েবসাইটে ভিজিটর ধরে রাখার ক্ষেত্রে ইউজার ফ্রেন্ডলি ডিজাইন, নির্ভুল তথ্য বহুল আর্টিকেল এবং লোডিং স্পিড খুবই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। নিচের চিত্রটি লক্ষ্য করুন
গুগলের সাহায্যে আপনি খুব সহজেই আপনার ওয়েবসাইটের মোবাইল এবং ডেক্সটপ এর লোডিং স্পীড চেক করতে পারবেন। আপনার ওয়েবসাইটের লোডিং স্পীড চেক করতে https://pagespeed.web.dev/ ক্লিক করে আপনার ওয়েবসাইটের ইউআরএলটি দিন। তাহলে আপনি আপনার ওয়েবসাইটের লোডিং স্পীড দেখতে পারবেন।
নিজেকে ভিজিটর হিসেবে কল্পনা করুন। ধরেন আপনি একজন ভিজিটর, আপনি কোন একটি তথ্য জানার জন্য গুগলে সার্চ দিলেন এবং গুগল সার্চের প্রথমদিকেই একটি রেজাল্ট এ ক্লিক করলেন। সেটা যদি অনেকক্ষণ ধরে লোডিং হতে থাকে, তাহলে আপনার কাছে খুবই বিরক্ত লাগবে। যদি আপনার আপনার বিরক্ত লাগে, তাহলে আপনি অন্য ওয়েবসাইট থেকে আপনার তথ্য খোঁজার চেষ্টা করবেন।
সুতরাং আপনার ওয়েবসাইট গ্রোথ করার জন্য ফাস্ট লোডিং স্পিড খুবই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এর জন্যই গুগল এডসেন্স ফাস্ট লোডিং স্পিড ওয়েবসাইটকে গুরুত্ব দেয়।
আপনি যদি আপনার ওয়েবসাইট গুগোল র্যাংকিংয়ে আনতে চান তাহলে এই আর্টিকেলটি পড়ুন: অন পেজ এসইও করে ওয়েবসাইট গুগোল রেংকিং 100% গ্যারান্টি
আর ইউজার ফ্রেন্ডলি ওয়েবসাইট হলো ওয়েবসাইট ভিজিট করে ভিজিটররা স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করতে পারবে। ধরেন আপনি একটি ব্লগ সাইট তৈরি করলেন এবং সেই ব্লগে ডিজাইন টা খুবই খারাপ এবং ইউজাররা এটা ইউজ করতে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করে না ধরেন ওয়েবসাইট গুলো খুবই ছোট, আর্টিকেল পড়তে সমস্যা সমস্যা হয়। তাহলে এরকম ওয়েবসাইটে কোন ভিজিটর দ্বিতীয় বার আর ভিজিট করতে চাইবে না।
সুতরাং সুন্দর এবং ইউজার ফ্রেন্ডলি ডিজাইন করা আপনার ব্লগের জন্য ভালো। গুগল সার্চ ইঞ্জিন ও আপনাকে এটাই বলে। ইউজার ফ্রেন্ডলি ডিজাইন এবং ফাস্ট লোডিং সহজে গুগল এডসেন্স পাওয়ার উপায় গুলোর মধ্যে আর একটি।
ওয়েবসাইটে গুরুত্বপূর্ণ পেজ যুক্ত করুন:
গুগল এডসেন্স এর জন্য আবেদন করার পূর্বে আপনাকে কিছু গুরুত্বপূর্ণ পেজ তৈরি করতে হবে। যদি এই পেইজগুলো তৈরি না করে সহজে গুগল এডসেন্স পাওয়ার উপায় খুঁজেন, সারাদিন খুঁজেও কোন লাভ হবে না।
গুরুত্বপূর্ণ পদগুলো হচ্ছে About Us, Contact Us, Privacy Policy, Terms & Conditions, Disclaimer ইত্যাদি।
আপনি যদি এই পেইজগুলো তৈরি করতে না পারেন বা এই পেজগুলোতে কি ইনফরমেশন দেবেন এ সম্পর্কে না জানেন। তাহলে আপনি আপনার ক্যাটাগরি রিলেটেড অন্যান্য ব্লগ সাইটের এই পেইজগুলো কপি করে আপনার ইনফরমেশন বসিয়ে আপনার ওয়েবসাইটে রাখতে পারেন। গুরুত্বপূর্ণ পেজ যুক্ত করুন সহজে গুগল এডসেন্স পাওয়ার উপায় না। বাধ্যতামূলকভাবে আপনাকে এই পেইজগুলো তৈরি করতেই হবে।
ওয়েবসাইটে পর্যাপ্ত আর্টিকেল:
ওয়েবসাইট এডসেন্স অ্যাপ্রুভ না পাওয়ার প্রধান কারন হচ্ছে ওয়েবসাইটে পর্যাপ্ত আর্টিকেল না থাকা। সহজে গুগল অ্যাডসেন্স পাওয়ার উপায় এর মূলে কপিরাইট ফ্রি ইমেজ, কোয়ালিটি কন্টেন্ট ও পর্যাপ্ত আর্টিকেল।
গুগল এডসেন্স আবেদন করার পূর্বে আপনার ব্লগে কমপক্ষে ২০/২৫ টি ভালমানের ইউনিক পোষ্ট দেবেন। অবশ্যই ওয়েবসাইট এর প্রত্যেকটি ক্যাটাগরিতে কমপক্ষে ৫ টি করে পোস্ট করবেন। অবশ্যই 1,000 শব্দের বেশি বড় আর্টিকেল লেখবেন। 2000 বা 3000 শব্দ দিয়ে আর্টিকেল লেখা এডসেন্সের ক্ষেত্র ভালো এবং গুগল রেংকিং এর ক্ষেত্রেও ভালো।
বেশি সময় লাগলেও, আপনার ওয়েবসাইটে লিখা প্রত্যেকটি আর্টিকেল যাতে 1000 থেকে 2000 শব্দের ভেতরে হয়, এটা খেয়াল রাখবেন। আপনার লেখা অরিজিনাল আর্টিকেল 1000 শব্দের বেশি থাকলে, গুগল এডসেন্স অনেক সহজেই আপনার ব্লগকে একটি high quality ব্লগ ভাববে এবং গুগল সার্চে প্রথমে আসবে। এটা সহজে গুগল এডসেন্স পাওয়ার উপায়
আপনি যদি আর্টিকেলের ওয়ার্ড কাউন্ট করা সম্পর্কে না জানেন তাহলে আপনার উদ্দেশ্যে অনলাইনে আপনি সহজেই আর্টিকেল এর ওয়ার্ড কাউন্ট করতে পারবেন wordcounter.net এর মাধ্যমে।
ওয়েবসাইটে ফাঁকা পেজ বা ক্যাটাগরি না রাখা:
ওয়েবসাইট গুগল এডসেন্স এর জন্য আবেদন করার পূর্বে, আপনাকে অবশ্যই নিশ্চিত হতে হবে, আপনার ওয়েবসাইটে কোনো ফাঁকা পেইজ বা ক্যাটাগরি নাই।
আপনার ওয়েবসাইটে যদি ফাঁকা পেইজ বা ক্যাটাগরি থাকে এবং আপনি যদি গুগল এডসেন্স এর জন্য আবেদন করেন। তাহলে গুগল এডসেন্স আপনাকে বলবে “আপনার ওয়েবসাইট এখনো রেডি হয়নি” এবং আপনার ওয়েবসাইট গুগল এডসেন্স রিজেক্ট করে দিবে।
এবং অবশ্যই আপনি আপনার ওয়েবসাইটটি তে মেনুবারে 5 বা তার অধিক পেইজ বা ক্যাটাগরি যুক্ত করবেন। মেনুবারের যদি কোন মেনুবার না থাকে এর জন্য গুগল এডসেন্স না দিতে পারে। তাই এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ সহজে গুগল এডসেন্স পাওয়ার উপায়।
কপিরাইট মুক্ত কন্টেন্ট:
ওয়েবসাইটে অ্যাডসেন্স এর জন্য আবেদন রিজেক্ট হওয়ার আরেকটি প্রধান কারণ হচ্ছে কপিরাইটযুক্ত কনটেন্ট ব্যবহার করা। অনেক নতুন ব্লগার আছে যারা না বুঝেই অন্য্ ওয়েবসাইট থেকে কনটেন্ট নিয়ে তার ওয়েবসাইটে অ্যাডসেন্স এর জন্য আবেদন করে। গুগল এডসেন্স যখন এডসেন্স এর জন্য আবেদন রিজেক্ট করে, তখন সে হতাশ হয়ে পড়ে।
এবং মনে রাখবেন গুগোল থেকে কোন ইমেজ ডাউনলোড করে নিজের আর্টিকেলে ব্যবহার করবেন না। কপিরাইটযুক্ত ইমেজ ব্যবহার করা গুগল এডসেন্স এবং গুগল সার্চ ইঞ্জিন দুইটাই নিষেধ করে।
pexels.com , pixabay.com ও unsplash.com সহ আরো অনেক ওয়েব সাইট পাবেন যেখানে। কপিরাইট ফ্রি ইমেজ ভিডিও পাবেন। শুধু আপনাকে কষ্ট করে গুগলে সার্চ এ লিখতে হবে “copyright free image“
সুতরাং যদি আপনি ব্লগার হতে চান, অবশ্যই আপনার আর্টিকেল লেখার অভ্যাস করতে হবে। অন্য জনের কনটেন্ট কপি করে বেশিদূর এগোতে পারবেন না। তাই কপিরাইট মুক্ত কন্টেন্ট ব্যাবহার করা সহজে গুগল এডসেন্স পাওয়ার উপায়।
অন্য বিজ্ঞাপন না দেওয়া:
আপনি যদি আপনার ওয়েবসাইটের অন্য কোন অ্যাড নেটওয়ার্কের বিজ্ঞাপন দিয়ে থাকেন, তাহলে গুগোল অ্যাডসেন্সে অ্যাপ্রভে হওয়ার আগেই এগুলো সরিয়ে ফেলুন। অন্যথায় গুগল আপনার ব্লগে এডসেন্স এপ্রুভ করবে না। কারণ কারন গুগল অ্যাডসেন্স তাদের বিজ্ঞাপনের পাশাপাশি অন্য কোন ধরনের বিজ্ঞাপন দেখাতে পছন্দ করে না।
অনেকেই আছে ওয়েবসাইটের হেডারে বা সাইডবারে ইমেজ তৈরী করে নিজের ফেসবুকের বা ইউটিউব এর লিংক বসায়। কিন্তু গুগোল এগুলোকে বিজ্ঞাপন হিসেবে কাউন্ট করে। গুগল অ্যাডসেন্স এপ্রুভ হওয়ার আগে ইমেজ আকারে ইউটিউব বা ফেসবুকের লিংক ব্যবহার করবেন না
যদি আপনার ওয়েবসাইটে এফিলিয়েট লিংক ও ব্যবহার করে থাকেন, তবুও সেইলিং গুলো সরিয়ে ফেলুন।ইউটিউব ভিডিও লিংক, এফিলিয়েট লিংক ইত্যাদি সবকিছু সরিয়ে ফেলুন। কিন্তু চিন্তার কোন কারণ নেই, গুগোল অ্যাডসেন্স অ্যাপ্রভে হওয়ার পরে এফিলিয়েট লিংক এবং অন্যান্য বিজ্ঞাপন ব্যবহার করতে পারবেন। অন্য বিজ্ঞাপন না ব্যাবহার করা সহজে গুগল এডসেন্স পাওয়ার উপায়।
ওয়েবসাইট গুগলে সাবমিট না করা:
আপনার ওয়েবসাইট গুগলে সাবমিট করার আগে আপনাকে আরেকটি নাম করতে হবে সেটা হচ্ছে সার্চ ইঞ্জিনে আপনার ওয়েবসাইটটা কে গুগল সাবমিট করা। এবং অবশ্যই আপনার আর্টিকেল এর সবগুলো যাতে গুগোল ইনডেক্সিং হয়, সেই বিষয়টিও খেয়াল রাখবেন। তারপরে আপনি গুগল এডসেন্স এর জন্য আবেদন করবেন। ওয়েবসাইট গুগলে সাবমিট না করা সহজে গুগল এডসেন্স পাওয়ার উপায়।
আপনার ওয়ার্ডপ্রেস ওয়েবসাইট গুগল সার্চ করে সাবমিট করার জন্য গুগলের নিজস্ব প্লাগিন “Site Kit by Google – Analytics, Search Console, AdSense, Speed” ব্যবহার করবেন। এই প্লাগইনটি সম্পূর্ণ বিনামূল্যে আপনি ওয়ার্ডপ্রেস এ পেয়ে যাবেন।
এছাড়া আপনি যদি ব্লগিং প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার করে থাকেন, তাহলে আপনাকে মেনুয়ালি গুগল সার্চ কনসোলে আপনার ওয়েবসাইট এর সাইট ম্যাপ আপলোড করতে হবে। যদি আপনি না করতে পারেন তাহলে গুগলে সার্চ দেন, এর জন্য আপনি গুগলে অনেক আর্টিকেল খুঁজে পাবেন। সহজে গুগল এডসেন্স পাওয়ার উপায়
গুগল এডসেন্স অ্যাপ্রুভ না হওয়ার কারণ:
এ সময়ে অনেক ভাল মানের ব্লগার আছেন, যারা বার বার ওয়েবসাইট এ গুগল এডসেন্স এপ্রোভ এর আবেদন করেও পাচ্ছেন না।
সহজে গুগল এডসেন্স পাওয়ার উপায় এই আর্টিকেল পরেও অনেকে ব্যর্থ চেষ্টা করবে। এবং একসময় হতাশ হয়ে পড়বে। কিছু লোক ব্যর্থ চেষ্টা করে ব্যর্থ হচ্ছে, আবার অনেকে কিছুতেই ব্যর্থতাকে মেনে নিতে পারছে না।
যারা বার বার গুগল এডসেন্স এর জন্য আবেদন করেও গুগল এডসেন্স পাচ্ছে না, তাদের উদ্দেশ্যে কিছু কারণ শেয়ার করি। এগুলো অবশ্যই আপনার ওয়েবসাইটের ভুলগুলো সংশোধন করতে সাহায্য করবে। তো চলুন শুরু করি……..
অপর্যাপ্ত কনটেন্ট:
একটি ওয়েবসাইট থেকে ইনকাম বা পরিচালনা করার জন্য কনটেন্ট হচ্ছে তার প্রাণ। আপনার ওয়েবসাইট এ যত ভালমানের কনটেন্ট থাকবে, আপনি তত বেশী ভিজিটর পাবেন।
গুগল এডসেন্স পাওয়ার আবেদন করার পূর্বে আপনার ব্লগে কমপক্ষে ২০ থেকে ২৫ টি ভালমানের ইউনিক পোষ্ট থাকতে হবে। ব্লগের প্রত্যেকটি Categories এ কমপক্ষে ৫ টি করে পোষ্ট হতে হবে। কারণ গুগল এডসেন্স কর্তৃপক্ষ আপনার ওয়েবসাইটকে গুগল এডসেন্স অনুমোদন করা পূর্বে ভালভাবে যাচাই করে দেখবে। ওয়েবসাইট পর্যাপ্ত কনটেন্ট দেয়া সহজে গুগল এডসেন্স পাওয়ার উপায়।
কোয়ালিটি কনটেন্ট না থাকা:
বর্তমানে গুগলের এডসেন্স রিজেক্ট হওয়া সবচেয়ে বড় এবং প্রধান কারণ হচ্ছে ল-ভ্যালু কন্টাক্ট। ধরেন আপনি এমন একটি বিষয় নিয়ে লিখেছেন যেগুলো গুগল সার্চ ইঞ্জিনে কোন সার্চ হয় না, এবং সেই বিষয়গুলো সম্পর্কে কোন ভিজিটর পড়তে চায় না, তাহলে অবশ্যই এটা ল-ভ্যালু কনটেন্ট।
বর্তমানে ওয়েবসাইট এ শুধুমাত্র পর্যাপ্ত কনটেন্ট থাকলেই হবে না, পোষ্টগুলো অবশ্যই সার্চ সার্চ ভ্যালু থাকতে হবে। আপনি যদি ব্লগিং করে গুগল এ্যাডসেন্স ব্যবহার করে অনলাইন ইনকাম করতে চাঁন। তাহলে অবশ্যই এমন বিষয় নিয়ে কনটেন্ট লিখা শুরু করবেন, যার মূল্য সার্চ ইঞ্জিনসহ সকল ধরনের ভিজিটরদের কাছে রয়েছে।
আপনার ওয়েবসাইটে যখন ভালমানের কনটেন্ট থাকবে, তখন ব্লগটি সবার কাছে গ্রহনযোগ্য হবে। তখন গুগল খুব দ্রুতই গুগোল অ্যাডসেন্সে আপনার ওয়েবসাইটে এপ্রোভ করে দিবে। ওয়েবসাইট কোয়ালিটি কনটেন্ট দেয়া সহজে গুগল এডসেন্স পাওয়ার উপায়।
কনটেন্ট রাইটিং সম্পর্কে জানতে “কোন কিছু সম্পর্কে আর্টিকেল লেখা শুরু করার 18 টি টিপস”
অনুপযুক্ত কনটেন্ট
গুগল এডসেন্স কনটেন্ট Policy এর বাহিরের অনেক কনটেন্ট রয়েছে, যেগুলো ব্যবহার করা যাবে না। যে কনটেন্ট গুলো ব্যবহার করলে ভিজিটরদের ক্ষতি হতে পারে। এ ধরনের কনটেন্ট ব্যবহার করে যত ট্রাফিক পান না কেন, আপনার ওয়েবসাইটে গুগল এডসেন্স এপ্রোভ হবে না। নিচে গুগল এডসেন্স কনটেন্ট Policy এর বাহিরের কনটেন্ট এর তালিকা দেয়া হলো:
- হ্যাকিং বা ক্রাকিং ব্যাংকিং তথ্য চুরি সম্পর্কিত টিপস।
- পর্ণগ্রাফি/Adult কনটেন্ট।
- থার্ড পার্টি ভিডিও শেয়ারিং ব্লগ।
- বিভিন্ন মাদক জাতীয় দ্রব্যের প্রচার বা প্রসার।
- Alcohol দ্রব্যের প্রতি আকৃষ্ট করা।
- পরস্পর বিরোধী কনটেন্ট।
- মারাত্মক অস্ত্রের বিজ্ঞাপন সম্পর্কিত ইত্যাদি।
গুগল এডসেন্স অনুমোদন না পাওয়ার অন্যান্য কারণ:
আমি অলরেডি উপরে গুগল এডসেন্স এপ্রোভ না হওয়ার অনেকগুলো কারণ নিয়ে আলোচনা করেছি। এ ছাড়াও এডসেন্স এপ্রোভ না হওয়ার আরও বেশ কিছু কারণ রয়েছে। নিচে আমরা গুগল এডসেন্স এপ্রোভ না হওয়ার অনেকগুলো সংক্ষেপে তুলে ধরলাম।
- এডসেন্স আবেদনকারীর বয়স ১৮ বছর না হওয়া।
- খারাপ সাইটে ব্লগের লিংক করা থাকলে।
- সাইট Malware এ আক্রান্ত হলে।
- বাচ্ছাদের Privacy Protection Act এর বহিঃভূত হলে।
- ব্লগের কনটেন্টের ভাষা সাপোর্ট না করলে।
- পূর্বে কখন Adsense Account ব্যান হলে।
- সঠিকভাবে Adsense Policy অনুসরণ না করলে।
সহজে গুগল এডসেন্স পাওয়ার উপায় শেষ কথা:
গুগল এডসেন্স এপ্রোভ পাওয়ার জন্য আপনাকে অবশ্যই এই আর্টিকেলের সহজে গুগল এডসেন্স পাওয়ার উপায়গুলো যথাযথভাবে পালন করতে হবে। কারণ বর্তমান বিশ্বে অনলাইন বিজ্ঞাপনের মধ্যে গুগল এডসেন্স এর অবস্থান সবার শীর্ষে। কাজেই বুঝতেই পারছেন ওয়েবসাইটে গুগল এডসেন্স এপ্রোভ হওয়া কিছুটা কঠিন হওয়ারই কথা।
আপনি যদি সম্পূন্য আর্টিকেল পড়ে থাকেন তাহলে বুঝতে অবশ্যই বুঝতে পেরেছেন , ওয়েবসাইট সহজে গুগল এডসেন্স পাওয়ার উপায় সবগুলো নিয়ে আলোচনা চেষ্টা করেছি। আশাকরি আপনি আমার কথা ভাষা সবগুলো টিপস সঠিকভাবে বুঝতে পেরেছেন।
যদি আর্টিকেলটা বুঝতে এবং আপনার কোন প্রশ্ন থাকে, তাহলে অবশ্যই কমেন্ট করে জানান। অবশ্যই আমি কমেন্টের প্রত্যেকটা রিপ্লাই দেওয়ার চেষ্টা করব।
আমি নিজেও দীর্ঘদিন ধরে গুগল এডসেন্স ব্যবহারকারী। সহজে গুগল এডসেন্স পাওয়ার উপায় আর্টিকেলটি আমার দীর্ঘ দিনের অভিজ্ঞতার আলোকে লেখা। ভুল-ত্রটি মার্জনীয়। সবাইকে ধন্যবাদ
আমি অনেক আগেই এডসেন্স পেয়েছি। কিন্তু পোষ্ট গুগলে রেংক করে না। একটু হেল্প করবেন?
facebook: fb.com/websorifulpro
whatsapp : +8801304819810
amak ms koren
Very good article.
thanks